photo

ই কমার্স বিজনেস করতে যা জানা জরুরী

বিশ্বে ই-কমার্স সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনলাইন ব্যবস্থায় পণ্য কেনাবেচা করাই হল ই-কমার্স। ই-কমার্সের ফলে সহজেই একদেশের পণ্য অন্যদেশে বিক্রয় করা যায়। এতে ব্যবসায়ের প্রসার হয় ও মুনাফাও বৃদ্ধি পায়। আমাজন, আলীবাবা, ওজন, বিগবাস্কেট ইত্যাদি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।

বর্তমান বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ে টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা রাখা আবশ্যক। তেমনি ই-কমার্স এর জন্য টেকনিক্যাল বা প্রাযুক্তিক বিষয়, পণ্য সংগ্রহ, প্রোডাক্ট ডেলেভারি, পেমেন্ট, ক্রেতা যোগাযোগ, গবেষণা, পোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কাস্টমার সাপোর্ট, বিজনেস মার্কেটিং, পলিসি, আইনি কানুন বিষয় ইত্যাদি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকলে ধীরে ধীরে অনেক ভালো করা যায়।

১. প্রাযুক্তিক বিষয়ে ধারণা

যেহেতু এই ব্যবসার মৌলিক উপাদান হলো অনলাইন ব্যবস্থা। তাই টেকনিক্যাল বা প্রযুক্তিগত বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ও পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ডোমেইন, হোস্টিং এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।

২. পণ্য সংগ্রহ

বিজনেসের জন্য পণ্য বা পোডাক্ট সংগ্রহের বিষয়টি অত্যাবশকীয়। এই পণ্য কোথা থেকে আসবে বা কীভাবে আনয়ন করবে তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। পণ্যের দাম, আয়, খরচ বা ভবিষ্যত মুনাফা, যোগান-চাহিদা সম্পর্কেও ভালো ধারণা থাকা উচিত।

৩. পণ্য বিতরণ বা ডেলিভারি

ডেলিভারি ই-কমার্সে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সন্তোষজনক উপায়ে পণ্য ডেলিভারি করতে পারলে ব্যবসায় প্রসার হবে। তাই কিভাবে ক্রেতাদের নিকট পণ্য ডেলিভারি করবে এবং কোন মাধ্যম ব্যবহার করে সহজে ক্রেতা সন্তুষ্টি করা যাবে তা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. মূল্য প্রদান বা পরিশোধ

কীভাবে পণ্য ক্রেতা ক্রয়কৃত পণ্যের পেমেন্ট করবে, তুলনামূলক কম খরচে সুবিধা বেশি পাবে তার খেয়াল রাখতে হবে। ক্যাশ অন ডেলিভারি, অনলাইন পেমেন্ট অথবা মোবাইল মাধ্যমগুলো সম্পর্কে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে হবে।

৫. যোগাযোগ

কমিনিকেশন বা যোগাযোগ বিজনেস্কে দিনে দিনে সামনের দিকে নিয়ে চলে। ক্রেতা-বিক্রেতা সম্পর্ক, ক্রেতা-ক্রেতা সম্পর্ক বিজনেসের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্রেতে–বিক্রেতার সম্পর্ক জোরদারের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

৬. পণ্য গবেষণা ও উন্নয়ন

প্রতিদিন ই-কমার্স বিজনেস প্রসার লাভ করছে। নিত্য নতুন উদ্যোক্তা এই নতুন নতুন পণ্য নিয়ে বিজনেস শুরু করছে।তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য রিসার্চের বিকল্প নেই। ভাল ও উন্নত পণ্যের জন্য রিসার্চ অত্যাবশক।

৭. ফিডব্যাক বা প্রতিক্রিয়া প্রদান

একটি বিজনেস টিকে ঠাকার জন্য কাস্টমার সাপোর্ট খুবই জরুরি। ভালো কাস্টমার সাপোর্ট সুনাম বৃদ্ধি করে যা বিজনেস কে যুগ যুগ টিকিয়ে রাখে। তাই কাস্টমারের সাথে উন্নত যোগাযোগ রাখা জরুরি এবং তাদের পণ্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া বা মতামত গ্রহণ করে প্রতিক্রিয়া প্রদান করাও প্রয়োজন।

৮. মার্কেটিং

বিজনেসের ক্ষেত্রে প্রচারেই প্রসার। তাই মার্কেটিংটা ও জরুরি। অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যম যেমন-ফেইসবুক, ব্লগ, ওয়েবসাইট ইত্যাদির মাধ্যমে মার্কেটিং করা যায়। ফ্রি বা পেইড মেথডে বিজনেস প্রমোট করা সম্ভব।

৯. সময়ের সাথে পলিসি ঠিক করা

সময়ের সাথে যুগোপযোগী পণ্য নিয়ে বিজনেস শুরু করা উচিত। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে না চললে খুব ভালো বিজনেস ও লোকসান করে। তাই সচেতন ও সাবধান থাকতে হবে।

১০. আইনি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান

প্রত্যেক বিজনেসের জন্য আইনি ক্রিয়াকলাপ মেনে চলতে হয়। ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্স বা অন্যান্য আইনি বিষয়গুলো যথাযথ ভাবে মেনে বিজনেস শুরু করা হলে তা বিজনেস প্রসারে সহায়ক হবে।

উল্লিখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকলে অনলাইন বিজনেস বা ই-কমার্সে ভালো করা যায়। তাই অনলাই বিজনেস বা ই-কমার্স বিজনেসে স্পষ্ট ও পরিপূর্ণ ধারণা নিয়েই শুরু করা উত্তম কাজ। এতে যেমন লোকসানের ভয় কম থাকে তেমনি মুনাফা আয় বা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ও বেশি থাকে।